বুড়িচংয়ের কৃষকেরা এখন তিল বীজ উদ্যোক্তা

মাহফুজ নান্টু।।
বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে বীজ হিসাবে ৭০০ কেজি বিনাতিল-২ এর বীজ কিনে নিলো বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লা। মৌসুমি পতিত জমিতে প্রথমবারের মতো চাষ হওয়া উপজেলার পাহাড়পুর ও রামপুর গ্রামের বিভিন্ন কৃষকদের কাছ থেকে এই বীজ ক্রয় করা হয়। বীজ হস্তান্তরকালে বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লা এর পক্ষে ঊর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অর্পিতা সেন এবং উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় উপস্থিত ছিলেন। বীজ উৎপাদন ও হস্তান্তর কার্যক্রম তদারকি করেন উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. সাহেদ হোসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিস বুড়িচং এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে প্রথম বারের মতো ২৫ বিঘা জমিতে বিনাতিল-২ চাষ করেন উপজেলা ১৮ জন কৃষক। বিনা উপকেন্দ্রের বিনাতিল-২ জাতের বীজ সংগ্রহের পরিকল্পনা থাকায় উৎপাদিত তিল ভোজ্য তেলের জন্য বিক্রি না করে বীজ হিসাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে কৃষি বিভাগ। মনোহরপুর ব্লকের কৃষক হারুনুর রশিদ জানান, বৃষ্টির অভাবের কারণে সময়মতো তিল বুনতে পারি নাই, তারপরও বিনাতিল-২ চাষ করে বিঘা প্রতি ৪-৫ মণ হারে ফলন পেয়েছি। মনোহরপুর ব্লকের উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. সাহেদ হোসেন প্রয়োজনীয় সকল কারিগরি সহযোগীতা করেছেন। ৪০ কেজি বীজ রেখে দিয়েছি আগামীতে আশেপাশের চাহিদা পূরণ ও নিজে চাষ করার জন্য। অনেক কৃষক বিনাতিল-২ জাতটি চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, বুড়িচং উপজেলায় বিভিন্ন ফসলের বীজ উদ্যোক্তা তৈরি করতে আমার কাজ করছি। বিনাতিল-২ এর বীজ সরবরাহ সেই সব বীজ উদ্যোক্তার সাফল্য। তাছাড়া, বুড়িচং উপজেলায় তিলের আবাদ বৃদ্ধি ও বিনাতিল-২ জাত সম্প্রসারণ নিয়েও কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোছা. আফরিণা আক্তার জানান, বিনা উপকেন্দ্রে বীজ সরবরাহ করতে পারাটা আমাদের বীজ উৎপাদন সক্ষমতার একটি প্রতিচ্ছবি। বীজ উৎপাদন ও বীজ ব্যবসা করতে আগ্রহী সকলকে আমাদের পক্ষ থেকে সকল কারিগরি পরামর্শ প্রদান করা হবে।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page